(শেখ হাসিনা)
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শেখ হাসিনা মারা গেছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিনি মারা গেছেন। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার। তাদের অনুসন্ধানে জান যায়, ভিডিও ভুয়া।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, শেখ হাসিনা মারা গেছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং গত জুলাইয়ে ভারতের একটি সড়ক দুর্ঘটনার পুরোনো ভিডিওর সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক কিছু ফুটেজ জুড়ে দিয়ে ভুয়া এই দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। ভাইরাল দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে একটি সড়ক দুর্ঘটনার ফুটেজ দেখিয়ে বলা হচ্ছে যে শেখ হাসিনা এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
দুর্ঘটনার ভিডিওতে যমুনা টিভির লোগো এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিল থাকার সূত্রে অনুসন্ধান করে যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে। শিরোনামে ১০ জুলাই প্রকাশিত একই ঘটনার মূল ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
এই ভিডিওর সূত্রে জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের উনাও জেলার লখনৌ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ জুলাই সকালে একটি স্লিপার বাস ও দুধের ট্যাংকারের সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন। উক্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির প্রথম অংশের ভিডিওর পুরোপুরি মিল খুঁজে পাওয়া যায, কিন্তু অডিও ভিন্ন। এ থেকে আলোচিত ভিডিওটিতে তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে অডিও যুক্ত করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
অর্থাৎ, জুলাইয়ে ভারতের একটি দুর্ঘটনার ভিডিওতে শেখ হাসিনা দুর্ঘটনায় মারা গেছেন শীর্ষক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া, শেখ হাসিনা গত ১০ জুলাই চীন সফরে ছিলেন, সেখান থেকে ১১ জুলাই দেশে পৌঁছান। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন।
এছাড়া, আলোচিত এই ভিডিওতে কিছু অপ্রাসঙ্গিক ফুটেজ দেখিয়েও দাবিটির বিষয়ে কথা বলতে শোনা গেছে ভিডিওর উপস্থাপককে, যার সঙ্গে শেখ হাসিনার মৃত্যুর দাবি সত্য প্রমাণ করে এমন কোনো তথ্য বা ফুটেজ নেই। পরবর্তী অনুসন্ধানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে শেখ হাসিনার মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সুতরাং, শেখ হাসিনা মারা গেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।